টবের গাছে বেশি ফুল আনার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ কৌশল ও পরিচর্যার নিয়ম নিচে দেওয়া হলো:
ফুলগাছ সাধারণত প্রচুর রোদ পছন্দ করে।
প্রতিদিন অন্তত ৫–৬ ঘণ্টা রোদে রাখা জরুরি।
যদি রোদ না আসে, তাহলে সানলাইট ল্যাম্প ব্যবহার করা যেতে পারে।
টবের জন্য হালকা ও ঝুরঝুরে মাটি সবচেয়ে ভালো।
মাটির মিশ্রণ হতে পারে:
৫০% দোআঁশ মাটি
২৫% কোকোপিট/পচা পাতা
২৫% গোবর/কম্পোস্ট সার
গাছের মাটি যেন অতিমাত্রায় ভেজা বা একদম শুকনো না হয়।
আঙুল ঢুকিয়ে দেখে যদি শুকনো লাগে, তাহলে জল দিন।
সকালে জল দেওয়া ভালো।
প্রতি ১৫–২০ দিনে ১ বার জৈব সার দিন (যেমন কেঁচো সার, পচা গোবর)।
ফুল আসার সময় ফসফরাস ও পটাশ জাতীয় সার কার্যকর:
হাড়ের গুঁড়ো (Bone meal)
DAP বা Super Phosphate (সল্প মাত্রায়)
Banana peel liquid fertilizer
Wood ash (ছাই) – পটাশ সমৃদ্ধ
শুকনো পাতা, পুরনো ফুল কেটে দিন – এতে নতুন কুঁড়ি আসে।
ডাল ছাঁটাই করলে নতুন শাখা গজায়, যা থেকে আরও ফুল হয়।
নিয়মিত গাছ পরীক্ষা করুন।
নিম তেল স্প্রে ব্যবহার করলে পোকা কমে।
প্রতি ১–২ বছর পর মাটি পাল্টান।
বেশি শিকড় হলে বড় টবে গাছ স্থানান্তর করুন।
শুকনো ফুল ও পাতা ছাঁটাই
নিম তেল স্প্রে (পোকা রোধে)
গাছ ঘোরানো (সব দিক সমান রোদ পায়)
Bone Meal: কুঁড়ি গজাতে সাহায্য করে
Banana Peel Liquid: পটাশ সরবরাহ করে
কেঁচো সার: মাটির গুণমান বাড়ায়
Neem Cake: পোকা দমন করে
Wood Ash (ছাই): প্রাকৃতিক পটাশ
মাস | কাজের বিবরণ | পরামর্শ |
---|---|---|
জানুয়ারি | গাছ ছাঁটাই, শীতজনিত রোগ নজরে রাখা | সকালের রোদে রাখুন |
ফেব্রুয়ারি | কম্পোস্ট সার ও ফুলের সার দেওয়া শুরু | মরিচা/পাতা পচা রোগ থেকে সাবধান |
মার্চ | রোদ বেশি আসছে – জল নিয়মিত দিন | ১৫ দিনে একবার ফুলের সার |
এপ্রিল | ফুল ফোটার সময় – জল ও সার ব্যালান্স | কলার খোসার তরল সার ব্যবহার করুন |
মে | গরমের সময় – সকাল-সন্ধ্যা জল দিন | পাতায় স্প্রে করুন, নিম তেল প্রয়োগ |
জুন | বর্ষাকাল – অতিরিক্ত জল বের হয় কিনা দেখুন | ছাই ও কম্পোস্ট দিন |
জুলাই | গাছ বিশ্রামে থাকে, ফুল কম | মৃত ডাল, পাতা ছেঁটে দিন |
আগস্ট | গাছের বৃদ্ধির সময় – ছাঁটাই করুন | গোবর সার বা কেঁচো সার দিন |
সেপ্টেম্বর | নতুন কুঁড়ি আসতে শুরু | ছায়া-রোদ ব্যালান্স করুন |
অক্টোবর | ফুল ফোটার প্রস্তুতি | Bone meal বা DAP প্রয়োগ করতে পারেন |
নভেম্বর | ঠান্ডা শুরু – জল কম দিন | গাছ ছাঁটাই এবং শুকনো পাতা ফেলা |
ডিসেম্বর | আলো কম, কিন্তু পাতা ফুরফুরে রাখতে হবে | জল কমিয়ে দিন, রোগ প্রতিরোধে নজর দিন |